অক্টোবর মাস হল স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস, এটি একটি বার্ষিক প্রচার যাতে স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষদের বিশেষভাবে জানানোর জন্য করা হয়। স্তন ক্যান্সার, ক্যান্সার রোগের একটি প্রভাবশালী প্রকার। এই রোগ ভারত সহ সারা বিশ্বের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্তন ক্যান্সার চিহ্নিত করা হয় কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির দ্বারা, যার ফলে স্তনের মধ্যে ডেলা বা পিণ্ড আকৃতি(লাম্প) বাঁধে। এটি ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে অন্যতম চিকিৎসাযোগ্য প্রকার। প্রথম সনাক্ত করা না হলে, এটি একটি জীবনহানিকারক রোগ হতে পারে, কারন এটি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্তন ক্যান্সার উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় বিশ্বের মহিলাদের হতে পারে। এটা যেকোন বয়সের মহিলাদের হতে পারে, কিন্তু ৪০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিভাবে দেখা যায়। ভারতবর্ষে ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে ২৫% থেকে ৩১% মহিলাদের স্তন ক্যান্সার দেখা যায়। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স ৫০-৭০ বছর বয়স থেকে ৩০-৫০ বছর বয়সে উল্লেখযোগ্যভাবে স্থানান্তর ঘটেছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কারনগুলি হল :
নিচের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করুন
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য টিপস
এই সময়ের প্রয়োজনীয়তা হল স্তন পরীক্ষার বিষয়ে সচেতনতা প্রদান করা, ২০ বছর বয়স থেকে শুরু করে নিয়মিত যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করানো , যাতে এটি প্রথম সনাক্ত করা যায় এবং সফলভাবে চিকিৎসা করা যায়।
"প্রারম্ভিক সনাক্তকরণ হল প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি "
স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে শোনা কথা ধ্বংস করুন
স্তনের মধ্যে ডেলা বা পিণ্ড আকৃতি(লাম্প) হলে তাদের মধ্যে খুব কম শতাংশের স্তন ক্যান্সার হয়। কিন্তু যদি স্তনে নাছোড়বান্দাভাবে কোনো ডেলা বা পিণ্ড আকৃতি(লাম্প) থেকে যায় বা স্তন কোষের কোন পরিবর্তনহয়, তাহলে রোগ নির্ণয়কারী স্তন পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র প্রায় ১০% মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হয়। বেশীর ভাগ মহিলাদের যাদের কোন পারিবারিক ইতিহাস নেই তাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্যান্সার ধরা পড়ে।
স্তন ক্যান্সার কারোর থেকে হয় না কিংবা অন্য কাউকে ছড়িয়ে যায় না। এটি একটি অ সংক্রামক রোগ যা স্তন কোষের অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধি থেকে ঘটে।
একটি ম্যামোগ্রাম বা এক্সরে স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এটি করার জন্য বিকিরণের খুব ছোট মাত্রার প্রয়োজন হয়। এই বিকিরণ থেকে ক্ষতির ঝুঁকি খুবই কম পরিমানে থাকে।
তথ্যসূত্র :