
প্রতি বছর ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হয়, যার উদ্দেশ্যই হলো বিশ্ব জুড়ে হেপাটাইটিস রোগ নির্ণয়, তার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সচেতনতা গড়ে তোলা। হেপাটাইটিস হল কতগুলো সংক্রামক রোগের সমন্বয় যারা যথাক্রমে হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি ও হেপাটাইটিস ই নামে পরিচিত।
এ বছর বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস দিবসের থিমটি হল 'নির্মূলকরণ'।
২০১৬ ভাইরাসঘটিত হেপাটাইটিসের গুরুত্বপূর্ণ বছর। মে' মাসের বিশ্ব স্বাস্থ্য এসেম্বলিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাজ্যগুলো প্রাথমিক নির্মূলকরণ পন্থাগুলো গ্রহণ করে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে গণস্বাস্থ্যে হেপাটাইটিসের ভীতি নির্মূলকরণের লক্ষ্য স্থির করে। এটাই হবে ভাইরাসঘটিত হেপাটাইটিস নির্মূলকরণে জাতীয় সরকারের প্রথম পদক্ষেপ।
বিশ্বজুড়ে ভাইরাসঘটিত হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণের (২০১৬-২০২১) পদ্ধতি ও পন্থা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
হেপাটাইটিস কি?
হেপাটাইটিস হল এক ধরণের যকৃতের প্রদাহ। দু প্রকারের হেপাটাইটিস রয়েছে : তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী। তীব্র হেপাটাইটিস প্রায় ৬ মাস সময়সীমায় তীব্রভাবে ঘটে, অন্য দিকে দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস দীর্ঘ কাল স্থায়ী হয়ে থাকে। হেপাটাইটিসে অল্পস্বল্প লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে আবার কোনো উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিসের ফলে জন্ডিস রোগ, ক্ষুধাহীনতা বা অসুস্থতাবোধ দেখা দিতে পারে।
ভারতে হেপাটাইটিস
২০১২ সালে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে ১লক্ষ ১৯হাজার ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২ লক্ষ ৯০হাজার রয়েছে। ভারতবর্ষে হেপাটাইটিস ই ভাইরাস (এইচ ই ভি) মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল ও শিশুদের মধ্যে সবথেকে সাধারণ ছিল হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (এইচ এ ভি )। গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে সাধারণ হল হেপাটাইটিস ই ভাইরাস (এইচ ই ভি) । আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের হেপাটাইটিস আক্রমণ সম্পর্কে অসচেতন থাকায় তা লিভারের রোগ, লিভারের অকৃতকার্যতা ও ক্যান্সারে রুপান্তরিত হয়েছে।.
হেপাটাইটিসের ধরণ
কারণ
প্রতিরোধ
টিকা’র লভ্যতা
হেপাটাইটিস এ (এইচ এ ভি)
কলুষিত খাদ্য ও পানীয়
সুস্থ পুষ্টিকর খাদ্য ও পানীয়
এইচ এ ভি--র টিকা পাওয়া যায়
হেপাটাইটিস বি (এইচ বি ভি)
আক্রান্ত মা থেকে শিশুর মধ্যে
গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিসের পরীক্ষা
হেপাটাইটিস বি(এইচ বি ভি)-র টিকা পাওয়া যায়
হেপাটাইটিস সি (এইচ সি ভি)
সংক্রমিত রক্ত ও সুচ দ্বারা ঘটে
সবসময় নির্বিজ সুচ ব্যবহার করবেন.
টিকা পাওয়া যায় না.
১. অবশ্যই ইতিমধ্যে হেপাটাইটিস বি রয়েছে .
নির্বীজ ডাক্তারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার।.
হেপাটাইটিস ডি (এইচ ডি ভি)
২.সংক্রমিত রক্ত ও সংক্রমিত সুচ
গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করিয়ে নিন।
এইচ ডি ভি'র জন্য এইচ বি ভি টিকা পাওয়া যায়।
৩. সংক্রমিত মা থেকে তাঁর নবজাতক শিশুর মধ্যে।
হেপাটাইটিস ই (এইচ ই ভি)
কলুষিত জল .
শুদ্ধ জল পান করুন
টিকা পাওয়া যায় না
হেপাটাইটিসের কারণে যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধক টিপস :
কী কী করবেন
কী কী করবেন না
হেপাটাইটিসের আক্রমন রুখতে নিজেকে অনাক্রম্য করা
এলকোহল, তামাক ও বিনোদনের ড্রাগ এড়িয়ে চলুন।
কম ফ্যাট জাতীয় ও তন্তু-সমৃদ্ধ খাদ্য খান। খাবারের তালিকায় ফল, সবজি ও গোটা দানা শস্য যুক্ত করুন।
সম্পৃক্ত ফ্যাট এড়িয়ে চলুন.
প্রচুর পরিমাণে জলয়োজিত করা তরল পান করুন
অতি নুন জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলুন
নিজের ওজনের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে স্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ করুন
চিনি-সমৃদ্ধ সেদ্ধ করা রান্না করা খাবার, সোডা, কেক ও কুকিজ এড়িয়ে চলুন.
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খান ও কম পরিমানে দুগ্ধজাত খাবার খান
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন
তথ্যসূত্র:
- PUBLISHED DATE : Oct 16, 2015
- PUBLISHED BY : NHP CC DC
- CREATED / VALIDATED BY : NHP Admin
- LAST UPDATED BY : Jan 09, 2017
Discussion
You would need to login or signup to start a Discussion